খনি ইজারা
সেবা প্রদান পদ্ধতি
ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের আবেদন প্রাপ্তির পর আবেদন অনুমোদনের লক্ষ্যে সরকারের নিকট অগ্রবর্তীকরণের পূর্বে পরিচালক নিজে বা তদকর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত কোনো বিশেষজ্ঞের/কর্মকর্তার মাধ্যমে অনুসন্ধান লাইসেন্সের জন্য আবেদনকৃত এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার নিমিত্তে সরেজমিন তদন্ত করা হয়। অনুমোদনযোগ্য হলে সরকারের অনুমোদনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করা হয়। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী আবেদনকারীর সাথে খনি ইজারা চুক্তি সম্পাদনপূর্বক মঞ্জুরি প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ক) আবেদন ফি প্রদানের ট্রেজারি চালানের মূল কপি;
খ) ২০০ (দুইশত) হেক্টরের বেশি নয় এরূপ এলাকার জন্য ৫ (পাঁচ) কপি মৌজা ম্যাপ/স্কেচ প্লান এবং যদি এলাকা ২০০ (দুইশত) হেক্টরের অধিক হয় তাহলে শুধু জরিপ অধিদপ্তরের টপোগ্রাফিক শিট/এলজিইডি মানচিত্র (স্কেল-১:৫০,০০০) হতে প্রস্তুতকৃত আবেদিত এলাকা, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ প্রদর্শনপূর্বক স্কেচ প্লান;
গ) মালিকের নামসহ আবেদনকৃত জমির তফসিল;
ঘ) স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারী/পরিচালক/অংশীদারগণের গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
ঙ) স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারী/পরিচালক/অংশীদারদের জাতীয়তা ও নাগরিকত্বের সনদ এবং বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে তাদের কার্যকর পাসপোর্টের প্রামাণিক কপি;
চ) স্থানীয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদ, ট্রেড লাইসেন্স এবং টিআইএন সনদ;
ছ) বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ (দুই) কপি সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি এবং প্রসপেক্টাস বা অংশীদারী দলিল বা সমমানের যে কোনো আইনানুগ প্রমাণপত্র;
ঞ) বিদেশি নাগরিক বা বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোম্পানির নিবন্ধনের সনদ । ছ) বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ (দুই) কপি সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি এবং প্রসপেক্টাস বা অংশীদারী দলিল বা সমমানের যে কোনো আইনানুগ প্রমাণপত্র; ছ) বিদেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ (দুই) কপি সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধি এবং প্রসপেক্টাস বা অংশীদারী দলিল বা সমমানের যে কোনো আইনানুগ প্রমাণপত্র;
খনি ইজারার ক্ষেত্রে উপরোক্ত দলিলপত্র ছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সরবরাহ করতে হয়, যথা :-
ক) খনিজ সম্পদ আহরণ এবং পরিচালনার জন্য কারিগরি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি পূর্ণাঙ্গ খনি খনন পরিকল্পনা;
খ) খনি খনন পরিকল্পনায় নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে,যথা:-
১) ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক খনি বাস্তবায়নকালে নির্বাহিতব্য ব্যয়ের বিবরণ;
২) এলাকার বিস্তারিত ভূতাত্ত্বিক বিবরণসহ খনিজের মজুদ প্রদর্শনপূর্বক ১ (এক) সেন্টিমিটার: ১ (এক) কিলোমিটার স্কেলের মানচিত্র ;
৩) অবস্থান, প্রধান মজুদসমূহের বিবরণ এবং ভূপৃষ্ঠস্থ ভূতাত্ত্বিক কাঠামো বা বেসিনের আকার প্রদর্শনপূর্বক মানচিত্র;
৪) সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রমাণিত বা সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ;
৫) নূন্যতম উৎপাদন হার;
৬) ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামসহ খনন পদ্ধতি;
৭) খনি খননের বিভিন্ন স্তরে কারিগরী যোগ্যতা সম্পন্ন জনবলের বিবরণ;
৮) রাস্তাঘাট ও অন্যান্য ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ স্থাপনা যেমন গুদাম এবং ল্যাম্প রুম, ওয়ার্কশপ, খনিজ উপযোগীকরণ প্লান্ট, অফিস, আবাসন ও বিনোদন স্থান ইত্যাদির অবস্থান প্রদর্শনপূর্বক মানচিত্র; এবং
৯) খনি খনন পরিকল্পনার বিভিন্ন পর্যায়ের সম্ভাব্য ব্যয়।
গ) খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২- এর অধীন প্রদেয় রয়্যালটি, বাৎসরিক ফি ও অন্যান্য বকেয়া প্রদান নিশ্চিত করার জন্য দফা (খ) এর অধীন দাখিলকৃত খনি খনন পরিকল্পনায় উল্লিখিত সম্ভাব্য ব্যয়ের ৩% ব্যাংক গ্যারান্টি; এবং
ঘ) পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইসিসি)।