সচরাচর জিজ্ঞাসা
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) সম্পর্কিত সচরাচর জিজ্ঞাস্য
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) কি কি নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকে?
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) মূলত দুই ধরনের নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকে। যথা- তেল ও গ্যাস ব্যতীত খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে (১) অনুসন্ধান লাইসেন্স এবং উত্তোলন বা আহরণের লক্ষ্যে (২) খনি ইজারা এবং কোয়ারি ইজারা।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) বর্তমানে কোন আইন বা বিধি বলে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে?
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সালের ৩৯ নং আইন) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কি কি খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে?
বাংলাদেশে তেল ও গ্যাস ব্যতীত এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত খনিজ সম্পদগুলো হলো: কয়লা, কঠিনশিলা, সাধারণ পাথর/বালু মিশ্রিত পাথর, সাদামাটি, সিলিকা বালু এবং খনিজবালু।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) কি বালুমহাল ইজারা দেয়?
না; সাধারণ বালুমহাল ২৮.১২.২০০৪ তারিখ হতে বিএমডি-এর আওতা বহির্ভূত হওয়ায় ব্যুরো হতে ইজারা প্রদান করা হয়না।
কোয়ারি বলতে কী বোঝায়?
কোয়ারি বলতে বোঝায় এরুপ স্থান যেখানে ভূমির উপরিভাগে বা উপ-উপরিভাগের স্তরে প্রাকৃতিকভাবে খনিজ জমা রয়েছে এবং যেখান থেকে খনন ব্যতীত সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) মিটার উলম্ব গভীরতায় খনিজ পাওযা যায়।
সাধারণ পাথর/বালু মিশ্রিত পাথর, সিলিকা বালু এবং সাদামাটি কোয়ারিসমূহ কীভাবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে?
তেল ও গ্যাস ব্যতীত খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) কর্তৃক জরিপকার্য পরিচালনা করে সাধারণ পাথর/বালু মিশ্রিত পাথর, সিলিকা বালু এবং সাদামাটি সমৃদ্ধ এলাকাসমূহ চিহ্নিত করে সরকার গেজেটভুক্ত কোয়ারি হিসেবে ঘোষনা করেছে।
সিলিকা বালু কী, দেশের কোথায় সিলিকা বালু পাওয়া যায়?
খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ২ (২৫) অনুযায়ী যে সমস্ত বালুতে ৯০% এর অধিক সিলিকন-ডাই-অক্সাইড (SiO2) রয়েছে সে বালুকে ‘‘সিলিকা বালু” বলা হয়। বাংলাদেশের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট এবং কুমিল্লা জেলায় সিলিকা বালু পাওয়া পায়।
একজন আবেদনকারী কতগুলো আবেদন করতে পারবে?
একজন আবেদনকারী একই সময়ে অনধিক ৫টি (পাঁচ) আবেদন করতে পারেন।
আর্নেস্টমানি বা নিরাপত্তা জামানতের টাকা কীভাবে জমা দিব?
যেকোন তফসিলি ব্যাংক হতে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট-এর মাধ্যমে আর্নেস্টমানি বা নিরাপত্তা জামানতের টাকা জমা দিতে পারবেন।
খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমির কোয়ারি ইজারা নিতে কীভাবে আবেদন করবো?
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হলে উক্ত বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী আবেদন করতে হয়।
কোয়ারি ইজারার মেয়াদকাল কত বছর?
অনূর্ধ্ব ২(দুই) বছর।
আবেদন ফরমের মূল্য বা আবেদন ফি বাবদ যে টাকা জমা দিব তার কোন কোড নম্বর কত?
আবেদন ফরমের মূল্য বা আবেদন ফি বাবদ যে টাকা জমা দিতে হয় তার কোড নম্বর হলো: ১/৪২৪১/০০০০/২৬৮১।
খনি ও খনিজ দ্রব্যের রয়্যালটি বা ইজারামূল্য জমা প্রদানের কোড নম্বর কত?
খনি ও খনিজ দ্রব্যের রয়্যালটি বা ইজারামূল্য জমা প্রদানের কোড নম্বর ১/৪২৪১/০০০০/১৭০১।